সকালের অর্চনায় হাজার হাজার নতুন মুখ দেখা গেল অমৃতপুরীতে. আম্মা পৌঁছবার অনেক আগেই অডিটোরিয়াম লোকে ভর্তি হয়ে গেল. সকাল ৯:৩০টায় পরিপল্লীর অনাথ আশ্রমের পঞ্চবাদ্যমের দল আম্মাকে সসম্মানে মঞ্চে নিয়ে আসে. আম্মার আশীর্বাণী পূঃ স্বাঃ অমৃতস্বরূপানন্দজী ইংরাজীতে অনুবাদ করে বলেন. আম্মা উপস্থিত ভক্তবৃন্দকে উঠে দাঁড়াতে বলেন এবং নিজেদের ভুলে গিয়ে, সমস্ত দুশ্চিন্তা ভুলে গিয়ে গানের সঙ্গে নাচতে বললেন. আম্মা দুটি ভজন গাইলেন – ‘কৃষ্ণ গোবিন্দ গোপাল,’ এবং ‘ত্রিমূর্তি গলা.’ সবাই দুহাত উপরে তুলে হাত তালি দিতে দিতে গানের তালে তালে নাচতে লাগল.

এরপর আম্মা নবাগতদের দর্শন দিতে শুরু করলেন. ততক্ষণ ব্রহ্মচারীরা প্রসাদ বিতরণের বন্দোবস্ত করে ফেলল. দর্শনের শেষে প্রত্যেক ভক্তকে আম্মা নিজের হাতে মধ্যাহ্ন ভোজনের থালা প্রসাদ হিসাবে তুলে দিলেন. কয়েক ঘন্টা প্রসাদ বিতরণের পর আম্মা মঞ্চ থেকে নেমে নিজের ঘরে যাবার পথে আশ্রমের দুই হাতী – রাম ও লক্ষ্মী তাঁকে অভিনন্দন জানায় মাথা নাড়িয়ে এবং হর্ষধ্বনি করে. আম্মা তাদের সঙ্গে খেলা করলেন এবং পায়েস খাওয়ালেন. হাতীদের সঙ্গে আম্মার খেলা দেখার জন্য প্রচুর উত্সাহী ভক্ত তাঁদের ঘিরে ধরেছিল. আম্মার ইশারায় রাম ও লক্ষ্মী জলের বালতি থেকে শুঁড় দিয়ে জল তুলে উপস্থিত ভক্তদের গায়ে ছিটিয়ে দিল. যারা একদম কাছে ছিল, তারা জলে ভিজে চুৱু চুবু. রাম এবং লক্ষ্মী আম্মার এই দুষ্টুমীর কথা জানে এবং অনেকদিন ধরে আম্মা তাদের সঙ্গে এই খেলা খেলছেন. বলা বাহুল্য ভক্তরা পরম আনন্দে এই খেলায় অংশগ্রহণ করেন.

সন্ধেবেলা আম্মা ভজনের জন্যে যথারীতি অডিটোরিয়ামে আসেন. রাত ১০টায় আম্মা আবার অডিটোরিয়ামে আসে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখতে. পরিপল্লির বাচ্চারা, অমৃতার (বিশ্ববিদ্যাপীঠমের) ছাত্র-ছাত্রীরা লোকনৃত্য পরিবেশন করে. সকলের শেষে সারা পৃথিবী থেকে আগত আয়ুধের (অমৃতা যুবা ধর্মধারা) সদস্যরা ইংরাজী ভজনের তালে তালে প্রকৃতিমাতার উদ্দেশ্যে বিশেষ নৃত্যানুষ্ঠান পেশ করে.

রাত্রের উত্সবের সর্বশেষে আম্মা অগ্রণী হয়ে গাইতে শুরু করলেন বিখ্যাত মালয়ালম ভজন কালী মহেশ্বরীয়ে …