১লা আগস্ট, ২০১০

এ বছরে অমৃতপুরীতে কৃষ্ণজন্মাষ্টমী উত্সব প্রেম, আলোক এবং গানের সুরে মুখরিত হয়েছিল, যেমনটি সর্বদা হয়. ভোরবেলা থেকেই সমস্ত আশ্রম প্রাঙ্গনে ভজন শোনা যাচ্ছিল. আশ্রমের অনেক শিশুরা রাধা ও কৃষ্ণের বেশে সুসজ্জিত হয়ে ময়ূরপেখম ধারণ করে শোভাযাত্রা করেছিল.

বেলা ৪ টার সময় আম্মা কেরলের বিখ্যাত খেলা উরিয়াড়ি দেখতে রান্নাঘরের সামনের নতুন প্রাঙ্গনে হাজির হলেন. মাতৃবাণীর পুরোন পাঠকগণ জানেন উরিয়াড়ি কেরলের মাখনের হাঁড়ি ভাঙ্গার খেলা যেমন মহারাষ্ট্রে ‘গোবিন্দা’-র দিনে দহি-হাণ্ডি ভাঙ্গার খেলা হয়. দুটোর মধ্যে তফাত এই যে, কেরলে মাখনের হাঁড়ি একটা উঁচু বাঁশের সঙ্গে পুলি দিয়ে লটকানো থাকে. দড়ি ঢিলে করে হাঁড়ি বেশ নীচে নামানো হয় এবং রাখালবালকের দল এক এক করে ছুটে আসে হাঁড়ি ভাঙ্গতে. তখন পাশ থেকে অন্যরা তাদের গায়ে জল ছুঁড়ে মারে এবং পুলি দিয়ে হাঁড়ি উপরে টেনে নেয়. কেউ যদি হাঁড়ি ভাঙ্গতে পারে তবে আম্মা এবং অন্য সবাই হাততালি দিয়ে আনন্দে চিত্‌কার করেন. এ বছর উরিয়াড়ী শুরু করার আগে অমৃতার ছাত্র-ছাত্রীরা শ্রীকৃষ্ণের জীবন সম্বন্ধ্যে একটি ছোট নৃত্যনাট্য পেশ করে.

খেলার শেষে আম্মা কয়েকটি ভজন করেন. সব খুদে গোপ-গোপীরা গানের সঙ্গে সঙ্গে নাচতে শুরু করে এবং অমৃতপুরী বৃন্দাবনে পরিণত হয়. পরে সান্ধ্য ভজনের সময় আম্মার প্রেমোল্লাসপূর্ণ ভজনে সবাই মুগ্ধ হয়.

রাত ১১:৩০ নাগাদ আম্মা আবার মঞ্চে আসেন. ভাগবত পাঠ এবং পূজা করা হয়. ঠিক রাত ১২টায় শংখ-ঘন্টাধ্বনিতে কৃষ্ণের আবির্ভাব সূচিত হয়. আম্মার হৃদয়স্পর্শী গানের মধ্যে সবচেয়ে আকর্ষণকারী ছিল – রাধে গোবিন্দ গোপী গোপালা.

– তুলসী