(১লা নভেম্বর, ২০১০ কেরলে আম্মার সন্তানেরা প্রথম আবর্জনা পরিষ্কার অভিযান আরম্ভ করে. সেই ভিডিয়ো দেখার পর আম্মা ইউরোপ থেকে সন্তানদের নিম্নে উল্লিখিত চিঠি লিখেছিলেন.)
ওঁ নমঃ শিবায়
সোনারা আমার:
আম্মা যখন দেখল তার সন্তানেরা কেমন করে নিঃস্বার্থ ভাবে পরিষ্কার করার কাজে মেতেছে, আনন্দে আম্মার প্রাণ ভরে গেল. আম্মার মনে হল ছুটে তোমাদের কাছে যায় এবং তোমাদের প্রত্যেককে জড়িয়ে ধরে আদর করে. আম্মা আশা করে যে তোমাদের উদাহরণ সারা দেশে এক নব জাগরণ নিয়ে আসবে.
যারা অন্যদের পথ থেকে কাটা দূর করে তারা নিজের পথে ফুলের পাপড়ি বিছায়. আম্মা সর্বদা বলে, ‘‘আমরা বিচ্ছিন্ন দ্বীপ নই, আমরা শিকলের এক একটি কড়ির মত. যা কিছু আমরা করি তা জ্ঞাতে অজ্ঞাতে অন্যদের উপর প্রভাব বিস্তার করে. সুতরাং, অন্যদের মধ্যে পরিবর্তন আসার জন্য আমাদের অপেক্ষা করা উচিত নয়. আমরা বদলালে, অন্যরা নিজে থেকে বদলাবে.’’
বাছারা, তোমাদের কর্মের দ্বারা তোমরা এক নতুন ধারণার জন্ম দিতে শুরু করেছ. তোমরা এক মহান সংস্কারের বীজ বপন করেছ. আত্মসমর্পণ এবং নিষ্ঠার সঙ্গে যে মহান যজ্ঞ তোমরা শুরু করেছ, তা নিশ্চয়ই অন্যদের মধ্যে অনুপ্রেরণা জাগাবে. যে সত্কর্ম তোমরা আজ করেছ তা নিঃসন্দেহে আগামীকালের অশ্রুপাত কম করতে সাহায্য করবে. সেটা আমাদের দেশের পরিচ্ছন্নতা, সৌন্দর্য এবং পবিত্রতা ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করবে. আম্মা পরমাত্মার নিকট প্রার্থনা করছে যেন তিনি তার সন্তানদের শক্তি প্রদান করেন যাতে তারা মাতৃভূমির সেবা করতে পারে এবং দেশের মঙ্গলের জন্যে কর্ম করতে পারে.
প্রতিটি প্রিয় সন্তানকে আম্মার হৃদয় থেকে চুমু ও আদর ….