২০০১ সাল থেকে এম.এ.মঠ নানা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে সাড়া দিয়েছে, তত্কালিক জরুরী পরিষেবা থেকে শুরু করে দীর্ঘমেয়াদী পুনর্বাসন প্রকল্প পর্যন্ত. বিপর্যস্ত মানুষের জন্য আম্মার করুণা এবং সমবেদনা এত সম্পূর্ণ যে তিনি প্রতিটি প্রয়োজনীয় ব্যাপারে সাহায্য করেন – শুধুমাত্র তাদের বস্তুতান্ত্রিক ও মানসিক প্রয়োজন নয়, তাদের ভবিষ্যতের দিকেও তিনি নজর রাখেন. ২০০১ সালে গুজরাটের ভুজ অঞ্চলে ক্ষতিগ্রস্ত তিনটি গ্রামের পুনর্ণির্মাণ আম্মা নিজের হাতে তুলে নেন. তার প্রভাব সেখানকার মানুষের মনে এত গভীর ভাবে পড়েছিল যে ২০০৪ সালে ত্সুনামি বিপর্যয়ে আশ্রমের নিকটবর্তী এলাকায় ত্রাণকার্যে সাহায্য করার জন্য ভুজ থেকে গ্রামের কর্তাব্যক্তিরা তিনদিন ট্রেনে সফর করে অমৃতপুরীতে এসেছিল.

elephant rescue

ত্সুনামি ও গুজরাট ভূমিকম্প ছাড়াও মঠ আরও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে সাহায্য করেছে – আমেরিকার তুফান কাত্রিনা এবং রিটা (২০০৫ সালে), ২০০৫ সালের কাশ্মীর ভূমিকম্পে, ২০০৫ সালের মুম্বাইয়ের বন্যায় এবং ২০০৬ সালে সুরাটের বন্যায়.

রাষ্ট্রসংঘের স্পেশাল কন্সাল্টেটিভ স্ট্যাটাস

২০০৫ সালের জুলাই মাসে রাষ্ট্রসংঘ আম্মার প্রতিষ্ঠান এম্‌.এ.মঠকে স্পেশাল কন্সাল্টেটিভ স্ট্যাটাস প্রদান করেছে. উত্কৃষ্ট মানের ত্রাণকার্য এবং অন্যান্য মানবসেবার কাজের জন্য মঠকে এই মান্যতা প্রদান করা হয়. রাষ্ট্রসংঘের ইকনমিক অ্যাণ্ড সোশাল কাউন্সিলের সহযোগিতায় মঠ পৃথিবীতে মানবসেবার কাজ করতে ইচ্ছুক.