৭ই আগস্ট ২০১০

কর্ণাটকের রায়চুরে বন্যাক্রান্ত কুর্বাকুর্দা এবং মংগিগদ্দা দ্বীপের ২৩২টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার রায়চুর জেলার ডোংগ্রামপুর গ্রামে আজ মঠের কাছ থেকে বিনামূল্যে গৃহ লাভ করল. গত বছরের শেষের দিকে কর্ণাটক এবং অন্ধ্র প্রদেশে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের জন্য মঠের ঘোষিত ৫০ কোটি টাকার পুনর্বাসন প্রকল্পের অন্তর্গত এই গৃহগুলি বিনামূল্যে দান করা হয়েছে. ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মাতা অমৃতানন্দময়ী মঠ প্রথম সংস্থা বলে পরিগণিত হল যখন তারা বন্যাপীড়িতদের জন্য প্রথম ১০০ গৃহের নির্মাণকার্য মাত্র ২০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করেছিল. সেই উদঘাটন সমারোহে কর্ণাটকের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বি.এস. য়েড্ডিয়ুরাপ্পা মঠের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে মঠের উদাহরণ দেখে অন্য বেসরকারী সংস্থাগুলিও মঠের সমান গতি এবং উত্কর্ষের সঙ্গে বন্যাপীড়িতদের সহায়তায় এগিয়ে আসবে.

Raichur houses

নির্মাণের উপাদান ক্রয় করা, সরকারী কর্মচারী এবং স্থানীয় লোকদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা সবকিছু মঠ করেছে. তা ছাড়া সারা ভারত থেকে আসা আম্মার ভক্ত এবং জাপানের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরাও এত দ্রুত লয়ে নির্মাণকার্য সম্পন্ন করায় সাহায্য করেছে. ডোংগ্রামপুর গ্রামের অধিবাসীরা এই কার্যে মঠকে সক্রিয় সহযোগিতা করেছে, যদিও এইসব গৃহ তাদের জন্য ছিল না. ডোংগ্রামপুরের অধিবাসীদের জন্যও মঠের ৫০০টি গৃহ নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে. এ ছাড়া, দ্বীপে অবস্থিত আরও দুটি প্রাম কুর্বকলা ও অগ্রহরার অধিবাসীদের আটকুরে পুনর্বিন্যাস করা হবে, কারণ এই মোট চারটি স্থান নিয়মিত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়.

২৪২টি গৃহ দানের সময়ও মুখ্যমন্ত্রী শ্রী য়েড্ডুয়ারাপ্পা উপস্থিত ছিলেন এবং গ্রামবাসীদের পরামর্শ দেন এই নতুন গৃহগুলিকে যেন মন্দিরের মত মর্যাদা দেওয়া হয়. ‘‘রোজ সকালে প্রার্থনা করার সময় আমি মাতা অমৃতানন্দময়ী এবং তাঁর সেবাকার্যের কথা স্মরণ করি. তোমরা ভাগ্যবান যে তোমাদের এই নতুন বাড়ী দেওয়া হচ্ছে. আগে তোমরা শৌচালয়, বিজলী বা জল ছাড়া বাস করতে. সে সবকিছুর বন্দোবস্ত এখন করা হয়েছে.’’ রাজস্ব মন্ত্রী জি. করুণাকর রেড্ডী, গৃহনির্মাণ মন্ত্রী কাত্তা সুব্রহহ্মনিয়া নাইডু এবং মত্স্য মন্ত্রী আনন্দ অস্নোতিকরও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন. অনুষ্ঠানে মঠের প্রতিনিধিত্ব করেন ব্যাঙ্গালোর শাখার অধ্যক্ষ স্বামী অমৃতগীতানন্দ পুরী.