যারা আম্মার কাছে আসে, আম্মা তাদের প্রত্যেককে মাতৃস্নেহে আলিঙ্গন করে আশীর্বাদ করেন. এরই নাম আম্মার দর্শন.
এই সদানন্দময়ী সাধারণ সাদা শাড়ী পরিহিত নারীর নিকট থেকে একটু আশীর্বাদ, মাতৃস্নেহালিঙ্গন লাভ করা এবং দুটি মিষ্টি কথা শোনার জন্য হাজার হাজার লোক ধৈর্য ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকে সারারাত ধরে যা সকাল পর্যন্ত গড়াতে পারে. তারা জানে তাদের পালা আসবেই. তিনি কাউকে ফেরত্ পাঠিয়ে দেন না, তাতে যদি সারা দিন-রাত তাঁকে বসতে হয় তবুও না এবং তিনি দর্শন দেবার জন্য পয়সা নেন না. ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে কোন বিশ্রাম না করে আম্মা নিয়মিত দর্শন দিতে থাকেন. কোন কোন স্থানে তিনি ৪০ থেকে ৫০ হাজার মানুষকে দর্শন দিয়েছেন একনাগাড়ে প্রায় ২২ ঘন্টার বেশী বসে থেকে.
বিবিসি তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিল, ‘‘আপনি লোককে আলিঙ্গন কেন করেন?’’ উত্তরে আম্মা বলেন, ‘‘এ যেন নদীকে জিজ্ঞেস করা হল, ‘কেন তুমি বয়ে যাও?’ নদী বয়ে যায়, কারণ সেটা তার প্রকৃতি. সেরকম, এটাও আম্মার প্রকৃতি – সন্তানের প্রতি মায়ের স্নেহের প্রকাশ.’’ বিশ্বজনীন প্রেমের এই অভূতপূর্ব প্রকাশের নাম আম্মার দর্শন.
আম্মার ইচ্ছা
‘‘যারা তার কাছে আসে তাদের দিকে দু হাত বাড়াবার, অশ্রুভরা কারও কাঁধে হাত রাখার শক্তি যতক্ষণ তার আছে, ততক্ষণ আম্মা দর্শন দেবে. এই নশ্বর শরীরের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত মানুষকে আদর করা এবং তাদের চোখের জল মুছিয়ে দেওয়া – এটাই আম্মার ইচ্ছা.’’