আম্মা বলেছেন যে মাতা অমৃতানন্দময়ী মঠ সারা ভারতে স্কুল এবং জনসাধারণের ব্যবহারের স্থান পরিষ্কার করার দায়িত্ব নিতে রাজী আছে যদি রাজ্য সরকার এবং অন্যান্য সংস্থার সমর্থন ও সহযোগিতা উপলব্ধ হয়. ‘‘আজকাল বলা হয় যে ভারত উন্নতি করছে এবং বিকশিত হচ্ছে. কিন্তু পরিবেশ পরিষ্কার রাখা ও স্বাস্থ্যসম্বন্ধীয় ব্যাপারে আমরা অনেক পিছিয়ে আছি. আমাদের রাস্তাঘাট ও জনসাধারণের ব্যবহৃত বাথরুম ও টয়লেটে পরিচ্ছন্নতার অভাব এর প্রমাণ,’’ বলেন আম্মা.

পাশ্চাত্য দেশগুলি রাস্তাঘাট এবং জনসাধারণের ব্যবহৃত বাথরুম ও টয়লেটে অতি উচ্চ মানের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখে. তার তুলনায় ভারতের রাস্তাঘাট এবং জনসাধারণের ব্যবহৃত টয়লেটগুলির পরিচ্ছন্নতার মান শোচনীয়. জনসাধারণের যাতায়াতের রাস্তার ধারে প্রস্রাব করা এবং রাস্তা ও ফুটপাথে থুতু ফেলা লোকের অভ্যাস হয়ে গেছে. যদি কোন ডাস্টবিন থাকে, তৱুও তারা তার মধ্যে আবর্জনা ফেলবে না. তারা রাস্তার ধারে, এমন কি রাস্তার মাঝখানেও নোংরা ফেলবে. পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা বিকাশ ও সাংস্কৃতিক উন্নতির অংশবিশেষ. এটা হতে গেলে আমাদের বিস্তারিত প্রচার দরকার জনগণের মধ্যে জাগরূকতা বিকাশের জন্য. পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা সম্বন্ধে জনসাধারণের ব্যবহৃত স্থানে, বাস স্ট্যাণ্ডে এবং রাস্তার ধারে অনেক নির্দেশিকা লাগাতে হবে.

এই ব্রতে সাফল্যের জন্য টিভি এবং অন্য সংবাদ মাধ্যমের সহযোগিতা উপর আম্মা জোর দিয়েছেন. তিনি বলেছেন যদি রাজ্য সরকার, স্কুল ম্যানেজমেন্ট কমিটি এবং স্থানীয় লোকেরা সহযোগিতা করে, তবে মঠ স্কুল এবং জনসাধারণের ব্যবহৃত স্থানে টয়লেট বানিয়ে দিতে প্রস্তুত.

উপযুক্ত ব্লুপ্রিন্ট, পরিকল্পনা এবং ছাত্র ও জনসাধারণের সহযোগিতায় এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করা হবে.

প্রকল্পটি প্রথমে কেরল রাজ্যে প্রযুক্ত হবে. তারপর ধীরে ধীরে এটা সারা ভারতে বাস্তবায়িত করা হবে.

– কান্নাড়ি

৭ই আগস্ট ২০১০

কর্ণাটকের রায়চুরে বন্যাক্রান্ত কুর্বাকুর্দা এবং মংগিগদ্দা দ্বীপের ২৩২টি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার রায়চুর জেলার ডোংগ্রামপুর গ্রামে আজ মঠের কাছ থেকে বিনামূল্যে গৃহ লাভ করল. গত বছরের শেষের দিকে কর্ণাটক এবং অন্ধ্র প্রদেশে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের জন্য মঠের ঘোষিত ৫০ কোটি টাকার পুনর্বাসন প্রকল্পের অন্তর্গত এই গৃহগুলি বিনামূল্যে দান করা হয়েছে. ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মাতা অমৃতানন্দময়ী মঠ প্রথম সংস্থা বলে পরিগণিত হল যখন তারা বন্যাপীড়িতদের জন্য প্রথম ১০০ গৃহের নির্মাণকার্য মাত্র ২০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করেছিল. সেই উদঘাটন সমারোহে কর্ণাটকের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী শ্রী বি.এস. য়েড্ডিয়ুরাপ্পা মঠের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে মঠের উদাহরণ দেখে অন্য বেসরকারী সংস্থাগুলিও মঠের সমান গতি এবং উত্কর্ষের সঙ্গে বন্যাপীড়িতদের সহায়তায় এগিয়ে আসবে.

Raichur houses

নির্মাণের উপাদান ক্রয় করা, সরকারী কর্মচারী এবং স্থানীয় লোকদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করা সবকিছু মঠ করেছে. তা ছাড়া সারা ভারত থেকে আসা আম্মার ভক্ত এবং জাপানের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরাও এত দ্রুত লয়ে নির্মাণকার্য সম্পন্ন করায় সাহায্য করেছে. ডোংগ্রামপুর গ্রামের অধিবাসীরা এই কার্যে মঠকে সক্রিয় সহযোগিতা করেছে, যদিও এইসব গৃহ তাদের জন্য ছিল না. ডোংগ্রামপুরের অধিবাসীদের জন্যও মঠের ৫০০টি গৃহ নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে. এ ছাড়া, দ্বীপে অবস্থিত আরও দুটি প্রাম কুর্বকলা ও অগ্রহরার অধিবাসীদের আটকুরে পুনর্বিন্যাস করা হবে, কারণ এই মোট চারটি স্থান নিয়মিত বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়.

২৪২টি গৃহ দানের সময়ও মুখ্যমন্ত্রী শ্রী য়েড্ডুয়ারাপ্পা উপস্থিত ছিলেন এবং গ্রামবাসীদের পরামর্শ দেন এই নতুন গৃহগুলিকে যেন মন্দিরের মত মর্যাদা দেওয়া হয়. ‘‘রোজ সকালে প্রার্থনা করার সময় আমি মাতা অমৃতানন্দময়ী এবং তাঁর সেবাকার্যের কথা স্মরণ করি. তোমরা ভাগ্যবান যে তোমাদের এই নতুন বাড়ী দেওয়া হচ্ছে. আগে তোমরা শৌচালয়, বিজলী বা জল ছাড়া বাস করতে. সে সবকিছুর বন্দোবস্ত এখন করা হয়েছে.’’ রাজস্ব মন্ত্রী জি. করুণাকর রেড্ডী, গৃহনির্মাণ মন্ত্রী কাত্তা সুব্রহহ্মনিয়া নাইডু এবং মত্স্য মন্ত্রী আনন্দ অস্নোতিকরও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন. অনুষ্ঠানে মঠের প্রতিনিধিত্ব করেন ব্যাঙ্গালোর শাখার অধ্যক্ষ স্বামী অমৃতগীতানন্দ পুরী.